[Part 8] Model Activity Task Class 10 Geography Part 8- দশম শ্রেণী ভূগোল (Allindjob.com)
Contents
Model Activity Task
Class 10 (দশম শ্রেণী)
Sub:- Geography (ভূগোল )
Part 8
![[Part 8] Model Activity Task Class 10 Geography Part 8 combined](https://www.allindjob.com/wp-content/uploads/2021/11/ukuk.png)
[Part 8] Model Activity Task Class 10 Geography Part 8 combined
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে :
১.১ অবরােহণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হলাে –
ক) প্লাবনভূমি
খ) এস্কার
গ) গিরিখাত
ঘ) স্বাভাবিক বাঁধ
উত্তর : গ) গিরিখাত
১.২ হিমবাহ ও পর্বতগাত্রের মধ্যে সৃষ্ট সঙ্কীর্ণ ফাঁক হলাে –
ক) ফিয়র্ড
খ) বার্গম্বুন্ড
গ) করি
ঘ) এরিটি
উত্তর : খ) বার্গম্বুন্ড
১.৩ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করাে —
ক) লাদাখ – অঙ্গরাজ্য
খ) পুদুচেরী – কেন্দ্রশাসিত অঞ্জল
গ) আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ – অঙ্গরাজ্য
ঘ) হরিয়ানা – কেন্দ্রশাসিত অঞ্জল
উত্তর : খ) পুদুচেরী – কেন্দ্রশাসিত অঞ্জল
১.৪ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করাে —
ক) শৃঙ্খলিত শৈলশিরা – নদীর সঞ্জয়কাজ
খ) এরিটি – হিমবাহের সঞয়কাজ
গ) অপসারণ গর্ত – বায়ুর সঞয়কাজ
ঘ) বালিয়াড়ি – বায়ুর সঞ্জয়কাজ
উত্তর : ঘ) বালিয়াড়ি – বায়ুর সঞ্জয়কাজ
১.৫ ক্রান্তীয় চিরহরিৎ অরণ্যের উদ্ভিদের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলাে –
ক) নির্দিষ্ট ঋতুতে এদের পাতা ঝরে যায়
খ) পাতায় মােমের প্রলেপ থাকে
গ) উদ্ভিদের ডালপালা একসাথে যুক্ত হয়ে চাঁদোয়া সৃষ্টি করে
ঘ) এদের শ্বাসমূল থাকে
উত্তর : গ) উদ্ভিদের ডালপালা একসাথে যুক্ত হয়ে চাঁদোয়া সৃষ্টি করে
১.৬ অতিবিরল জনঘনত্বযুক্ত একটি রাজ্য হলাে –
ক) পশ্চিমবঙ্গ
খ) গােয়া
গ) উত্তরপ্রদেশ
ঘ) সিকিম
উত্তর : ঘ) সিকিম
১.৭ আরােহণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হলাে—
ক) গিরিখাত
খ) রসে মতানে
গ) বালিয়াড়ি
ঘ) গৌর
উত্তর : গ) বালিয়াড়ি
১.৮ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করাে—
ক) উত্তর-পশ্চিম ভারতের প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত – নীলগিরি
খ) দক্ষিণ ভারতের পূর্ববাহিনী নদী— নর্মদা
গ) আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের চিরহরিৎ বৃক্ষ – মেহগনি
ঘ) উত্তর-পূর্ব ভারত – কৃষ্ণু মৃত্তিকা
উত্তর : গ) আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের চিরহরিৎ বৃক্ষ – মেহগনি
১.৯ ভারতের রূঢ় বলা হয়—
ক) জামসেদপুরকে
খ) দুর্গাপুরকে
গ) ভিলাইকে
ঘ) বােকারােকে
উত্তর : খ) দুর্গাপুরকে
২. শূন্যস্থান পূরণ করাে :
২.১ বায়ুর___________প্রক্রিয়ায় বালি ও পলিকণা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অপসারিত হয়।
উত্তর : ভাসমান
২.২ __________উপত্যকা পীরপাঞ্জাল ও উচ্চ হিমালয় পর্বতশ্রেণি দ্বারা বেষ্টিত।
উত্তর : কাশ্মীর
২.৩_____________মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভারতে শীতকাল প্রায় শুষ্ক প্রকৃতির হয়।
উত্তর : উত্তর-পূর্ব
৩. বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখাে :
৩.১ নদীখাতে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট গর্তগুলি হলাে মন্থকূপ।
উত্তর : ঠিক
৩.২ ভারতের উপকূল অঞ্চলে দিনেরবেলা স্থলবায়ু প্রবাহিত হয়।
উত্তর : ভুল
৩.৩ শুষ্ক ও উম্ন আবহাওয়া চা চাষের পক্ষে আদর্শ।
উত্তর : ভুল
[Part 8] Model Activity Task Class 10 Geography Part 8 combined
৪. স্তম্ভ মেলাও :
ক স্তম্ভ | খ স্তম্ভ |
৪.১ বিশুদ্ধ কাঁচামাল | (i) ক্রেভাস |
৪.২ মালাবার উপকূল | (ii) তুলাে |
৪.৩ হিমবাহ | (iii) কয়াল |
উত্তর :
ক স্তম্ভ | খ স্তম্ভ |
৪.১ বিশুদ্ধ কাঁচামাল | (ii) তুলাে |
৪.২ মালাবার উপকূল | (iii) কয়াল |
৪.৩ হিমবাহ | (i) ক্রেভাস |
[Part 8] Model Activity Task Class 10 Geography Part 8 combined
৫. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৫.১ পলল ব্যজনী কেন পর্বতের পাদদেশে সৃষ্টি হয়?
উত্তর : উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল পার হয়ে নদী যখন পর্বতের পাদদেশীয় অঞ্চলে নেমে আসে তখন ভূমির ঢাল হঠাৎ কমে যাওয়ায় নদীর বহন ক্ষমতা ও স্রোতের বেগ দুই কমে যায় । ফলে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে বহন করে আনা পলি , বালি , কাঁকর , নুড়ি ইত্যাদি সঞ্চিত হয়ে পর্বতের পাদদেশে পলল ব্যজনী সৃষ্টি করে । যেমন : হিমালয়ের পাদদেশে এইরূপ পলল ব্যজনী দেখা যায় ।
৫.২ ‘ভারতের পশ্চিমবাহিনী নদীর মােহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠেনি’ – ভৌগােলিক কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : ভারতের পশ্চিমবাহিনী নদী অর্থাৎ আরব সাগরে পতিত নর্মদা , তাপ্তি প্রভৃতি নদীর মোহনায় ব – দ্বীপ দেখা যায় না । কারণ :
স্বল্পদৈর্ঘ্য নদীপথ :নদীগুলির দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় নদীতে পলির পরিমাণ কম থাকে ।
অল্প সংখ্যক উপনদী : পশ্চিমবাহিনী নদী গুলিতে উপনদীর সংখ্যা কম এবং সেগুলি ছোট ছোট । ফলে, নদী গুলিতে জল ও পলির পরিমাণ কম হয় ।
খরস্রোতা ও গভীর মহীসোপান : গ্রস্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে খাড়া ঢালে নদীগুলি প্রবাহিত হওয়ায় গতিবেগ খুব বেশি হয় । এছাড়া আরব সাগরের মহীসোপানের ঢাল অত্যন্ত বেশি হওয়ায় বিশেষত কাম্বে উপসাগরে নর্মদা ও তাপ্তি নদীর মোহনা অত্যন্ত গভীর হওয়ায় ক্ষয়জাত পদার্থ সমুদ্রের তলে তলিয়ে যায় । ফলে ব – দ্বীপ গঠিত হতে পারে না ।
৫.৩ ‘অক্ষাংশভেদে হিমরেখার উচ্চতা ভিন্ন হয়’ – ভৌগােলিক কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : ভূপৃষ্টে যে সীমারেখার নীচে বরফ গলে যায় বা যে সীমারেখার ওপর বরফ গলে না, তাকে হিমরেখা বলে। অক্ষাংশভেদে সূর্যরশ্মির পতন কোণের তারতম্য ঘটে। যেমন নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্য লম্বভাবে কিরণ দিলেও অক্ষাংশ বৃদ্ধির সাথে সাথে তা ক্রমশ তির্যকভাবে কিরণ দিতে থাকে। এই কারণে বায়ুর উষ্ণতারও তারতম্য লক্ষ করা যায়। উচ্চ অক্ষাংশ বিষিষ্ট অঞ্চলে হিমরেখা সমুদ্র সমতলে অবস্থান করে। কিন্তু অক্ষাংশের মান যত কমে, হিমরেখার উচ্চতা তত বৃদ্ধি পায়।
[Part 8] Model Activity Task Class 10 Geography Part 8 combined
৫.৪ ভারতে জলবিভাজিকা উন্নয়নের দুটি উদ্দেশ্য লেখাে।
উত্তর :
যে সামগ্রিক কারিগরি পরিকল্পনার মাধ্যমে সমগ্র নদী অববাহিকা অঞ্চলের ভূমিক্ষয়, ধস, বন্যা ও খরা প্রতিরােধ করে জমি, মাটি জল ও বনভূমির সুষ্ঠ ব্যবহারের মাধ্যমে এই অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র পরিবেশের উৎপাদন ও সম্পদের স্থায়ী উন্নয়ন করা যায়, তাকে জলবিভাজিক উন্নয়ন বা ব্যবস্থাপনা বলে।
উদ্দেশ্য:
১) জলবিভাজিকা উন্নয়নের প্রধান উদ্দেশ্য হলাে প্রাকৃতিক উৎস গুলি থেকে পাওয়া জল ও সমাজে জলের চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য রাখার ব্যবস্থা করা।
২) প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার করা ও এলাকার সামগ্রিক পরিবেশের উন্নতি ঘটানাে।
৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৬.১ ধাপ চাষ, ফালি চাষ ও সমােন্নতি রেখা বরাবর চাষের মাধ্যমে কীভাবে মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরােধ করা সম্ভব?
উত্তর : মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরােধ এর পদ্ধতি নিম্নরূপ-
- ধাপচাষ: মাটি সংরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হল ধাপচাষ। পাহাড়ি বা ঢালু জমিতে ঢাল অনুযায়ী সিঁড়ি বা ধাপ গঠন করলে ঢালের কৌণিক মান হ্রাস পায়। ধাপ তৈরি করলে সেখানে। জলের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ধাপ চাষ পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিক্ষয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
- ফালি চাষ: পাহাড়ি অঞ্চলে ছােটো ছােটো অংশে পাহাড়ের ঢালু জমিতে আড়াআড়িভাবে ফিতাকৃতি জমি তৈরি করে ক্ষয় প্রতিরােধী শস্য চাষ করার পদ্ধতিকেই ফালি চাষ বলে। শিম, ডাল, সয়াবিন, ভুট্টা প্রভৃতি শস্য চাষ করা হয়। এতে ভূমিক্ষয় রােধ হয় ও মাটির জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে।
- সমোন্নতি রেখা বরাবর চাষ: পার্বত্য অঞ্চলে উঁচু, নীচু এলাকায় সমান উচ্চতাযুক্ত বিন্দুগুলিকে যােগ করে যে রেখা পাওয়া যায় তাকে সমােন্নতি রেখা বলে। ওই রেখা বরাবর শস্যক্ষেত্র তৈরি করে কৃষিকাজ করা হয়। এতে জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় ফলে মাটির ক্ষয় কমে।
[Part 8] Model Activity Task Class 10 Geography Part 8 combined
৬.২ নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ভিত্তিতে নদী উপত্যকা ও হিমবাহ উপত্যকার পার্থক্য নিরূপণ করাে —
ক) সৃষ্টির প্রক্রিয়া
খ) উপত্যকার আকৃতি
গ) অবস্থান
উত্তর :
ভিত্তি | নদী উপত্যকা | হিমবাহ উপত্যকা |
সৃষ্টির প্রক্রিয়া | পার্বত্য অঞ্চলে অবঘর্ষ, জলপ্রবাহ প্রভৃতি ক্ষয় কার্যের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নদী পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় অধিক হারে করে তাই উপত্যকা প্রথমে ‘I’ ও পরে ‘V’ আকতিবিশিষ্ট হয়। | অতি উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাটন ও অবঘর্ষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হিমবাহ পার্শ্ব ও নিম্নক্ষয় সমান হারে করে ফলে উপত্যকা আকতিবিশিষ্ট হয়। |
উপত্যকার আকৃতি | নদী উপত্যকা প্রধানত ‘I’ বা ‘V’ আকৃতি বিশিষ্ট হয়। সমভূমিতে ইহা বিস্তৃত ও চওড়া ‘U’ আকৃতি বিশিষ্ট হতে পারে। | হিমবাহ উপত্যকা সর্বদা ‘U’ আকৃতি বিশিষ্ট হয়। |
অবস্থান | উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে যেখানে নদী বা জলধারা কার্য করে সেখানে নদী উপত্যকা গঠিত হয়। | উচ্চপর্বতের চিরতুষারাবৃত অঞ্চলে যেখানে হিমবাহ ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায় সেখানে হিমবাহ উপত্যকা গঠিত হয়। |
[Part 8] Model Activity Task Class 10 Geography Part 8 combined
৬.৩ হিমালয় পর্বতমালা কীভাবে ভারতীয় জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে?
উত্তর :
১. অক্ষাংশগত দিক দিয়ে ভারতের উত্তর অংশ উপক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়া সত্বেও হিমালয়ের অধিক উচ্চতার কারণে ভারতের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের জলবায়ু শীতল নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতির ।
২. ভারতের উত্তর – পূর্বের হিমালয় পর্বত অবস্থিত হওয়ায় শীতকালে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে আগত হিম শীতল বাতাস ভারতে প্রবেশ করতে পারে না । ফলে শীতকালে অধিক শীতলতার হাত থেকে ভারতবাসী রক্ষা পায় ।
৩. হিমালয়ের দক্ষিণ ঢালে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাধা পেয়ে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায় । এই কারণে উত্তর – পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জির মৌসিনরাম পৃথিবীর সবচেয়ে আর্দ্র ও বৃষ্টিবহুল অঞ্চল ।
Class 10 Model Activity Task Link :
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ইংরেজি
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক গণিত
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ইতিহাস
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ভূগোল
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক জীবন বিজ্ঞান
[Part-8] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ভৌতবিজ্ঞান
৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৭.১ হিমবাহের সঞ্জয় কার্যের ফলে গঠিত বিভিন্ন প্রকার গ্রাবরেখার সচিত্র বর্ণনা দাও।
উত্তর : উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন ও ক্ষয়প্রাপ্ত নানা আয়তনের তীক্ষ্ণ শিলাখণ্ড হিমবাহের সঙ্গে বাহিত হয়ে স্তূপাকারে উপত্যকার বিভিন্ন অংশে সঞ্চিত হয় । এই শিলাস্তূপকে গ্রাবরেখা বলে । অবস্থানের প্রকৃতি অনুযায়ী গ্রাবরেখা বিভিন্ন ধরনের হয় । যথা :
- পার্শ্ব গ্রাবরেখা : হিমবাহের উভয় পার্শ্বে সঞ্চিত গ্রাবরেখা ।
- মধ্য গ্রাবরেখা : পাশাপাশি দুটি হিমবাহের মধ্যবর্তী স্থানে সঞ্চিত গ্রাবরেখা ।
- প্রান্ত গ্রাবরেখা : হিমবাহের সামনে বা শেষ প্রান্তে সঞ্চিত গ্রাবরেখা ।
৭.২ ভারতের কোন অঞ্চলে অধিকাংশ কফি উৎপাদন করা হয়? এই বাগিচা ফসল চাষের অনুকুল প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা দাও।
উত্তর :ভারতের অধিকাংশ কফি দক্ষিণ ভারতের তিনটি রাজ্যে উৎপাদন করা হয় । যথা
- কর্ণাটক : ভারতের মধ্যে কফি উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করে । ভারতের মোট উৎপাদনের 72 % কফি উৎপাদিত হয় । এই রাজ্যের চিকমাগালুর , হাসান , কোদাগু , কুর্গ , মাইসোর , শিমোগা প্রভৃতি জেলায় কফি উৎপাদিত হয় ।
- কেরল : ভারতের মধ্যে কফি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে । ভারতের মোট উৎপাদনের 20 % কফি উৎপাদিত হয় । ওয়ানড় , পালাক্কাড় , ইদুক্কি প্রভৃতি জেলায় কফি উৎপাদিত হয় ।
- তামিলনাড়ু : ভারতের মধ্যে কফি উৎপাদনে তৃতীয় স্থান অধিকার করে । ভারতের মোট উৎপাদনের 6 % কফি উৎপাদিত হয় । নীলগিরি , সালেম , কোয়েম্বাটোর , মাদুরাই , তিরুনেলভেলি প্রভৃতি জেলায় কফি উৎপাদিত হয় ।
কফি চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ :
- উষ্ণতা : 20°C – 30°C উষ্ণতা কফি চাষের জন্য আদর্শ ।
- বৃষ্টিপাত : 150-250 সেমি বৃষ্টিপাত কফি চাষের জন্য প্রয়োজন ।
- আর্দ্রতা : আর্দ্রতা কফি গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ।
- মৃত্তিকা : লৌহ – পটাশযুক্ত উর্বর লাল দোয়াশ মাটি ও মৃদু অম্লধর্মী হিউমাস মাটি কফি চাষের পক্ষে উপযোগী ।
- জমির প্রকৃতি : জলনিকাশি ব্যবস্থাযুক্ত পাহাড়ী ঢালু জমি ।
- ছায়াপ্রদানকারী বৃক্ষ : প্রত্যক্ষ সূর্যকিরণ কফি চাষের পক্ষে ক্ষতিকারক । তাই কফি বাগিচাগুলোতে ছায়াদানকারী বৃক্ষ যেমন : কলা গাছ লাগানো হয় ।
[Part 8] Model Activity Task Class 10 Geography Part 8 combined
৭.৩ ভারতীয় জনজীবনে নগরায়ণের নেতিবাচক প্রভাবগুলি উল্লেখ করাে।
উত্তর : ভারতের সমগ্র জনসংখ্যার মাত্র ২৭.৭৮ % শহর ও শহরতলীর অঞ্চলে বসবাস করলেও আমাদের দেশে নগরায়নের নেতিবাচক প্রভাব গুলি স্পষ্ট । যেমন :
- বাসস্থানের সমস্যা : জীবন ও জীবিকার কারণে শহরমুখী মানুষের সংখ্যা নিত্য দিন বেড়েই চলেছে যার ফলস্বরূপ শহর অঞ্চলের জনঘনত্ব অত্যধিক হারে বাড়ছে ও বাসস্থানের তীব্র সমস্যা দেখা দিচ্ছে ।
- বস্তি এলাকা : ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি , জমি ও গৃহ নির্মাণের জিনিসপত্রের অধিক মূল্য , অধিক ঘর ভাড়া ইত্যাদি কারণে জীবন ও জীবিকার তাগিদে শহরে আশা প্রচুর মানুষ স্বল্প পরিসর স্থানে ছোট ছোট ঘরে ঠাসাঠাসি করে থাকতে বাধ্য হয় । এর ফলে শহর অঞ্চল গুলিতে বস্তি এলাকার পরিমাণ বাড়তে থাকছে ।
- যানজট : প্রতি দিনের কর্মব্যস্ততা শহরের মানুষকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছুটে বেড়াতে হয় ফলস্বরূপ নিত্যদিন শহরের যানজটের পরিমাণ বাড়ছে ।
- জলনিকাশির সমস্যা : বর্তমানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতের প্রধান শহরগুলি ( দিল্লি , মুম্বাই , কলকাতা ও চেন্নাই ) বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপযুক্ত ব্যবস্থার অভাবে নিকটবর্তী নদী বা সমুদ্রে বর্জ্য নিক্ষেপ করে । ফলে সংশ্লিষ্ট জলাধারগুলি দূষিত হয়ে পড়ায় জলবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায় ।
- অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও দূষণ : ভারতের শহর অঞ্চলগুলিতে বাড়তে থাকা বস্তি এলাকা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্ম দিচ্ছে । এর পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান যানজটের সমস্যা শহরের দূষণের মাত্রাকেও বাড়িয়ে দিচ্ছে ।
[Part 8] Model Activity Task Class 10 Geography Part 8 combined
Class 7Model Activity Task Link :
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক গণিত
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ইংরেজি
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ইতিহাস
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ভূগোল
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবেশ
[Part-7] মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক স্বাস্থ ও শরীরশিক্ষা
[Part 8] Model Activity Task Class 10 Geography Part 8 combined
Class 7 Model Activity Task English Part 8
[Part 8] Model Activity Task Class 10 Geography Part 8 combined