মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ক্লাস 9 ভূগােল
Contents
বিষয়ঃ ভূগােল ও পরিবেশ
শ্রেণীঃ নবম শ্রেণি

১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে:
১.১) বিষুবরেখায় ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ হলাে—
ক) ০°
খ) ৯০°
গ) ৬০°
ঘ) ৪৫°
উত্তর:- ক) ০°
১.২) ভূ-আলােড়ন ভূপৃষ্ঠে অনুভূমিকভাবে কাজ করলে সৃষ্টি হয়—
ক) স্তুপ পর্বত
খ) ভঙ্গিল পর্বত
গ) গ্রস্ত উপত্যকা
ঘ) মহাদেশ
উত্তর:- খ) ভঙ্গিল পর্বত
১.৩) ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করাে —
ক) তিস্তা নদী — জোয়ারের জলে পুষ্ট
খ) দার্জিলিং জেলা — দৈনিক উষ্ণতার প্রসর বেশি
গ) মালভূমির ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা — জলধারণ ক্ষমতা কম
ঘ) পাইন — ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ
উত্তর:- গ) মালভূমির ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা — জলধারণ ক্ষমতা কম
২. একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও:
২.১) কোনাে স্থানের দ্রাঘিমা ২৪° পূঃ হলে ঐ স্থানটির প্রতিপাদস্থানের দ্রাঘিমা কত হবে?
উত্তরঃ ২৪° পশ্চিম।
২.২) একটি পর্বতবেষ্টিত মালভূমির নাম লেখাে।
উত্তরঃ তিব্বতীয় মালভূমি।
২.৩) কোন জলবায়ু অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকারের প্রাধান্য লক্ষ করা যায়?
উত্তরঃ উষ্ণ ও আদ্র নিরক্ষীয় ।
৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও:
৩.১) নদী ও খালের জলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাবগুলি কী কী?
উত্তরঃ নদী ও খালের জলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব গুলি হল—
ক. অতিরিক্ত জল সেচের কারণে মাটির উপরের খনিজ নীচের স্থানে চলে গেলে কিছুদিন পর চাষবাসের অযােগ্য হয়ে পড়ে।
খ. নদী বা খালের জলের উপর অতিরিক্ত পরিবহন চলাচল করলে জলে দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়।
গ. নদীর জল শিল্পে ব্যবহার হয় এবং সেই শিল্পের বর্জ্য নদী ও খালের জলে মিশে জলের দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
৩.২) ক্ষয়জাত সমভূমি ও সয়জাত সমভূমির মধ্যে পার্থক্য লেখাে।
উত্তরঃ
ক্ষয়জাত সমভূমি | সঞ্চয়জাত সমভূমি |
এই সমভূমি বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ক্ষয়ের ফলে সৃষ্টি হয়। | এই সমভূমি ম্যাগমা ও পাইরোক্লাস্ট জমা হয়ে সৃষ্টি হয়। |
এর সাথে ভূ-বহির্জাত শক্তি গুলির সম্পর্ক থাকে। | এর সাথে ভূ-অভ্যন্তরীণ শক্তি গুলির সম্পর্ক থাকে। |
এটি বয়সে প্রাচীন। | এটি বয়সে নবীন। |
এর উচ্চতা কম ও ক্ষয়প্রাপ্ত এর ফলে তা ক্রমশ হ্রাস পায়। | এর উচ্চতা মাঝারি ও সঞ্চয় কার্যের ফলে তা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। |
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
৪.১) (ক) ‘উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে তুষারের কার্যের ফলে শিলা আবহবিকারগ্রস্ত হয়’ চিত্রসহ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরঃ যে যান্ত্রিক আবহবিকার প্রক্রিয়ায় হিমশীতল অঞ্চলে শিলা ফাটলের মধ্যকার জল বরফে পরিণত হয়ে প্রবল চাপ সৃষ্টি করে শিলা ফেটে গিয়ে কোণযুক্ত শিলাখণ্ডে পরিণত হয়, তাকে তুষার আবহবিকার বা তুহিন খন্ডীকরণ বলে।
পদ্ধতি: হিমশীতল উচ্চ পার্বত্য বা উচ্চ অক্ষাংশ অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে বা দিনের বেলায় বরফ গলা জল শিলা ফাটলের মধ্যে জমা হয়।শীতকালে বা রাতের বেলায় তা বরফে পরিণত হলে আয়তনে ৯% বেড়ে যায় এবং শিলা ফাটলের গায়ে প্রচন্ড চাপ দেয়।ওই বরফ আবার গলে গেলে চাপমুক্ত হয়। এভাবে বরফ দ্বারা শিলা ফাটলে চাপের হ্রাস বৃদ্ধির ফলে শিলার উপর পীড়ন ও টান সৃষ্টি হলে শিলাটি ভেঙে তীক্ষ্ম কোনযুক্ত শিলাকণায় পরিণত হয়।
বৈশিষ্ট্য:
১. পাললিক শিলায় এটি বেশি সংঘটিত হয়।
২. বরফ বা তুহিনের আয়তন বৃদ্ধির জন্য শিলাস্তরে পীড়ন ও টাণ সৃষ্টি হয়ে এটি সংঘটিত হয়।
(খ) অক্সিডেশন বা জারণ প্রক্রিয়ায় শিলা কীভাবে বিয়ােজিত হয় উদাহরণসহ লেখাে।
অক্সিডেশন বা জারণঃ জল বা জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিতে লােহা যুক্ত শিলা ও খনিজের সঙ্গে বায়ুর অক্সিজেন গ্যাসের সংযােগের ফলে যে রাসায়নিক আবহবিকার ঘটে,তাকে জারণ বা অক্সিডেশন বলে।
পদ্ধতিঃ মূলত লােহা, এছাড়া অ্যাম্ফিবােল, পাইরক্সিন ও বায়ােটাইট খনিজ সমৃদ্ধ শিলায় জারণ কার্যকর নীল রঙের ফেরাস অক্সাইড সমৃদ্ধ শিলা খুবই কঠিন। কিন্তু জলের উপস্থিতিতে তা অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে বাদামি বা হলদে রঙের এক নতুন যৌগ সােদক ফেরিক অক্সাইড বা মরিচা তৈরি হয় যা শিলাকে খুবই ভঙ্গুর ও দুর্বল করে। নিকৃষ্টমানের লিমােনাইট লােহা আকর উৎপন্ন হয়। একইভাবে ফেরাস সালফাইট ফেরাস সালফেটে পরিনত হয়ে দুর্বল হয়।